মাস্টার্স করেও পাননি চাকরি, তাই অবশেষে ফুচকা বিক্রি করেই পেট চালাচ্ছেন দরিদ্র পরিবারের মেয়ে! প্রশংসা করলেন নেটিজেনরা।









নিজস্ব প্রতিবেদন:করোনা ভাইরাসের কারণে বিগত প্রায় বছর দুয়েক সময় ধরে দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে।একদিকে যেমন অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে তেমনি সরকারি ক্ষেত্রেও দুর্বল হয়ে পড়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। যার ফলস্বরুপ উপযুক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরেও অনেক যুবক-যুবতী বেকার হয়ে রয়েছেন।অনেকে ব্যবসার দিকে ঝুঁকলেও উপযুক্ত মূলধন এবং বুদ্ধির অভাবে নানান ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।




এই পরিস্থিতিতেই নিজের সংসার চালাতে এবং অর্থ উপার্জন করতে একেবারে নতুন পথ অবলম্বন করলেন কৃষ্ণনগর শক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা শিম্পি সাহা।প্রথমেই জানিয়ে রাখি শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে স্নাতকোত্তর অর্থাৎ এমএ পাস করেছেন তিনি।




পাশাপাশি কম্পিটিটিভ এক্সামের জন্যও পড়াশোনা করছিলেন শিম্পী। কিন্তু বরাবর থেকেই তার ব্যবসার দিকে ঝোঁক ছিল। আর এই ইচ্ছে থেকেই স্নাতকোত্তর পাস করার পরেও গত ডিসেম্বর মাস থেকে তিনি ফুচকার ব্যবসা শুরু করেছেন।




শক্তিনগর থেকে দোগাছির রাস্তা ধরে এগোলে কাঠালতলা শনি মন্দির এর ঠিক উল্টো দিকে একটি ছোট দোকান দেখতে পাওয়া যাবে।এটিই শিম্পির ফুচকার দোকান। ইতিমধ্যেই যুবতীর এই অভিনব উদ্যোগ দেখে সকলে অবাক হয়ে গিয়েছেন।শিম্পি জানিয়েছেন তার এই উদ্যোগে পাড়াপড়শি থেকে শুরু করে পরিবার সকলেই খুশি হয়েছে। অনেকেই তাকে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়েছে।




সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটা ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই অনেক মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে তার দোকানে ফুচকা খেতে এসেছেন।যুবতী আরও জানিয়েছেন যদি তার এই ব্যবসা ভালোভাবে চলে সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে তার একটি ক্যাফে খোলার ইচ্ছে রয়েছে। এমএ পাস করার পরেও যেভাবে ফুচকার স্টল করে এগিয়ে চলেছেন এই যুবতী তাতে তার সাহসী উদ্যোগকে আমরা কুর্নিশ জানাই।











