নতুন রূপে ভারতে ফিরে আসতে চলেছে করোনা ভাইরাস! কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা? জানুন বিস্তারিত!









নিজস্ব প্রতিবেদন:প্রায় বছর দেড়েক এর বেশি সময় ধরে সারা বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছে করোনা ভাইরাস। চীনের উহান শহর থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল এই ভাইরাস। তার পর যেভাবে এটি মানবজাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছে তা হয়তো আর বলার প্রয়োজন নেই।




যদিও বর্তমানে গোটা বিশ্ব জুড়েই পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।টিকাকরণ থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় সচেতনতা মেনে চলার কারণে ভাইরাসের প্রকোপ আমাদের দেশেও অনেকটা কমে গিয়েছে।




তবে ক্রমাগত মিউটেশনের কারণে নতুন প্রজাতির আগমন ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় থাকছেন চিকিৎসকেরা।কারণ এর আগেও বেশ কয়েকবার ভাইরাসের নতুন প্রজাতি গুলি দেশের করোনার বেশ কয়েকটি তরঙ্গের আগমন ঘটিয়েছিল।।




বর্তমানে BA.2 নামে পরিচিত করোনার ওমিক্রন প্রজাতি টি গোটা বিশ্বেই অত্যন্ত সংক্রামক হয়ে উঠছে। এই প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা ডক্টর অ্যন্টনি ফৌসি বলেছেন যে,যে এই নতুন প্রজাতি টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সংক্রমনের কেসগুলির প্রায় 30 শতাংশ জুড়ে রয়েছে। পরবর্তীতে এটি নিজের আরো প্রভাবশালী রূপ নিয়ে দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।




তাই অবশ্যই এখন থেকে মানুষের মধ্যে প্রয়োজনীয় সচেতনতা এবং নজর থাকা উচিত। যাতে এই ভাইরাস নিজের প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম না হয়। অন্যদিকে ভারতেও ক্রমাগত চতুর্থ তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ার জল্পনা বেড়েই চলেছে।




আইআইটি কানপুরের একটি দল জানিয়েছিল 2022 সালের জুন মাস নাগাদ এ দেশে চতুর্থ তরঙ্গের আগমন ঘটতে পারে। এটি সংক্রমনের শীর্ষ স্থানে পৌঁছবে আগস্ট মাস নাগাদ। যদিও এখনো পর্যন্ত সেরকম কোনো পরিস্থিতি দেখা যায়নি।




করোনার এই নতুন প্রজাতি টি স্পাইক প্রোটিন এর মূল মিউটেশন গুলিকে মিস করে। যা সাধারণত সংক্রমণ সনাক্ত করার জন্য দ্রুত পিসিআর পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। তবে এই প্রজাতিটি ডেল্টার মত ফুসফুস কে প্রভাবিত করে না। পাশাপাশি এই প্রজাতিতে আক্রান্ত মানুষের স্বাদ বা গন্ধ এবং শ্বাসকষ্ট জনিত কোন সমস্যা হয় না।




এই প্রজাতি তে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষের দেহে ই মাথা ঘোরা, চরম ক্লান্তি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, হাত ব্যথা, পেশীবহুল ক্লান্তি এবং উচ্চ হৃদস্পন্দন জনিত সমস্যা দেখা গিয়েছে।এমতাবস্থায় এই তরঙ্গ দেশে নিজের কতটা প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হবে তা হয়ত সময় বলে দেবে। কিন্তু তার আগেই আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা ভাবনা করে অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত।











